অফিস ডেক্স।।
বাংলা সাহিত্যই আমাদের দুই বাংলার এমনকি বিশে^র সকল বাঙালীদের একত্রিত করে রেখেছে। এই সাহিত্যের অন্যতম অবদান আমাদের বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁরা আমাদের সহিত্য ভান্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ। তাদের লেখায় সব সময় সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ছিলো। অসাম্প্রদায়িক একটি জাতি গঠন তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো। তাই আমাদেরও সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দূরীভূত করতে হবে। বৃহস্পতিবার দুই বাংলার কবি সাহিত্যিকদের সংগঠন সাহিত্য নিকেতনের ষষ্ঠতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। নগরীর ৫৬ হাজী মেহের আলী রোডে সাহিত্য নিকেতনের কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুুষ্ঠিত হয়।সংগঠনের সভাপতি বিশ^াস মিলন আহমেদ মিলির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রবীর বিশ^াসের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উন্নয়নকর্মী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব স্বপন কুমার গুহ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাংবাদিক মুন্সী মাহাবুব আলম সোহাগ, সাংবাদিক সোহরাব হোসেন, সহ-সভাপতি সুব্রত চৌধুরী,সহ-সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ মন্ডল হিমাংশু, কোষাধ্যক্ষ বাপ্পী খন্দকার, বিপুল বিশ^াস, ইয়াসির আরাফাত রুমী,হালিমা নয়ন, শর্মিষ্ঠা মৈত্র, এম সেলিম আহমেদ, সেহা আহমেদ, রুম্মা রায়, জুঁই রায়, প্রিয়া, রুপা প্রমুখ। এর আগে অতিথিরা নিকেতন কেন্দ্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুলে ভাস্কর্য স্থাপন করেন। এছাড়া প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও কেককাটা হয়। এরও আগে সাহিত্য নিকেতনের দ্বিমাসিক মুখপত্র হৃদয়ে বাংলার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। এছাড়া বরিশাল ও যশোরেও একইভাবে স্থানীয় সদস্যদের আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কবিতা আবৃত্তি ও গানসহ দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এসময় বক্তারা আরও বলেন, আধুনিকতার ছোঁয়া যতই থাকুক না কেনো কাগজের বই কিংবা সংবাদপত্র পড়ার আগ্রহ মানুষের আগে ছিলো, এখনও আছে এবং আগামীতেও থাকবে। তবে এর জন্য ভালো লেখা প্রয়োজন। যা নিয়মিত সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে রপ্ত করা যায়। তাই আমাদের আরও বেশি পড়তে হবে, আরও বেশি চর্চা করতে হবে তাহলেই ভালো লেখালেখি সম্ভব। এর জন্য দলীয়ভাবে সাহিত্য চর্চা অনেক বেশি কার্যকরী বলেও মনে করেন বক্তরা। ##