গোলাম মোস্তফা খান, দাকোপ, খুলনা: একটানা প্রচন্ড গরমে জনজিবন অতিষ্ঠ। প্রচন্ড এই তাপদাহে দাকোপ সহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলার মানুষ ডায়রিয়া সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে দাকোপ উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে ভিড় করছে।
গত কয়েকদিন যাবৎ রোগিদের উপছে পড়া ভিড়ে প্রচন্ড গরমে চরম ভোগান্তির মাঝে দাকোপের চালনা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালে সিটের সংকুলান না হওয়ায় বারান্দায় ও যাতাযাত পথে লম্বালম্বি ভাবে প্রতিদিন বাড়তি আরো কমপক্ষে ৫০ জন রোগিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন রোগির এত বেশি চাপ যে আউটডোরে বেলা ৯টা থেকে ১টার মধ্যে গড়ে কমপক্ষে ২০০জন রোগি টিকিট নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গতকাল বুধবার বেলা ১টার সময় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় বেড ছাড়াও বারান্দা, চলাচলের পথ, কোথাও তিলধারনের ঠাই নেই রোগিদের ভিড়ে। গাদাগাদি অবস্থায় রেখে স্যালাইন লাগিয়ে ডায়রিয়া সহ নানা রোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বেলা ১ টা পর্যন্ত ১৭০ জন রোগি টিকিট নিয়ে আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে চালনা পৌর এলাকার আনন্দনগর গ্রামের এক পরবিারের ৪ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা হচ্ছেন মা অব্ধলী (৫০) ছেলে চিন্ময় (২৬)পুত্রবধু তমা (২৪) ও নাতি ৮ মাসের শিশু এছাড়া আরো কয়েকজন ডায়রিয়া রোগিকে বারান্দায় চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। তারা হচ্ছেন মোংলার বৈরাগীখালির ফুলমতি (৮০)আচাভূয়ার শিখা (২৪) এমনি ভাবে ডায়রিয়া সহ নানা রোগের ১৩০ এর বেশি রোগি চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫০ শয্যা এ হাসপাতালে।
এ বিষয়ে ডা: সন্তোষ কুমার মজুমদারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বেশ কয়েকদিন টানা গরম পড়ায় বাচ্চা ও বৃদ্ধদের বেশি ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে, প্রতিদিন আগের তুলনায় অনেক বেশি রোগি আসছে। দাকোপের চালনার এ হাসপাতালে সমগ্র দাকোপ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ৪/৫টি উপজেলা থেকে প্রতিদিন রোগি এসে চিকিৎসা নেয় আর বর্তমানে গরমে আরো বেশি বেশি রোগি আসায় সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে বলে অনেকেই জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মোজাম্মেল হক নিজামীর সাথে এ বিষয়ে কথা বললে উনি জানান, রোগির চাপ যতই বাড়ুক না কেন আমরা যথাসাধ্য সেবা দিয়ে চলেছি, বলতে গেলে সারা বছরই খুলনার মধ্যে এ হাসপাতালটিতে রোগিদের চাপ বেশি থাকে বর্তমানে আরো বেশি, জনবল কম বলে আমাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে।