নিজস্ব প্রতিবেদক : দাকোপের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হোসেন তাঁর অধিনস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে ১৪ টি মেডিকেল টিম গঠম করেছিলেন। যারা সমগ্র দাকোপজুড়ে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ও আশপাশের এলাকার ঘুর্ণিঝড় আক্রন্ত মানুষের চিকিৎসা সেবায় ছিলো সদা তৎপর।
তার মধ্যে ০৪ নং মেডিকেল টিমে কর্তব্যরত ছিলেন ডাঃ সন্তোষ কুমার মজুমদার। তিনি টিম এ থেকে খুব সকাল থেকে বানীশান্তা ইউনিয়নের ঝুঁকি পূর্ণ এলাকাগুলি দর্শন সহ সেখানকার ১২ জনকে চিকিৎসা প্রদান করেছিলেন। ডাঃ সন্তোষ কুমার মজুমদারের সন্মুখেই ঝড়ে দুইটি ঘর উড়ে যায় বলে জানান তিনি। তিনি সেখান থেকে উপজেলা সদরে ফিরে একই দিন বিকালে কর্মস্থলের জরুরী বিভাগেও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেন বলে জানান।
এদিকে হাসাপাতালের প্রধান কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, খুলনা জেলা প্রশাসক হেলাল হোসেন, এস পি, সিভিল সার্জন, দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ এবং দাকোপ থানা অফিসার ইনচার্জ মোকাররম হোসেন সহ দাকোপের অন্যান্য সরকারী ও বেসরকারী প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। এ সময় মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ কামরুজ্জামান তাদের সঙ্গে ছিলেন। ওই সময় আবুল হোসেন বালিকা বিদ্যালয়ের সাইক্লোন সেল্টারে একটি প্রসূতী মাকে ডেলিভারিতে সাহায্য করেন উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। তাকে সাহায্য করেন ডাঃ মোঃ কামরুজ্জামান, উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ কিশোর গাইন ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক জনাব অহেদুজ্জামান।
দাকোপ উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায় শুক্রবার দিবাগত সারা রাত ও শনিবার নয়টি কমিউনিটি সেন্টারে ৩০০ জনেরও বেশী রোগীকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়। ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিটি মেডিকেল টিমে ছিল পর্যাপ্ত মেডিসিন, গজ, ব্যান্ডেজ, ওয়াটার পিউরিফায়িং ট্যাবলেট সহ সকল রকম চিকিৎসা সরঞ্জাম।