প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, জনদুর্ভোগের বাজেটের প্রতিবাদে ও সিলিন্ডারের গ্যাসের দাম কমানোর দাবীতে ৭ জুলাই রবিবার দেশব্যাপী অর্ধদিবস শান্তিপূর্ণ হরতালের সমর্থনে হরতাল চলাকালে বার বার পুলিশি বাধা এবং নিষেধাজ্ঞার মধ্যে জোটের পক্ষ থেকে পিকচার প্যালেস মোড়স্থ সিপিবি কার্যালয় চত্বরে কয়েক দফা সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
শান্তিপূর্ণ মিছিল বার বার পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। সকাল থেকেই পুলিশ পুরো এলাকা কর্ডন করে রাখে। এর পূর্বে মধ্যরাতে মহানগর সিপিবি’র সভাপতি এইচ এম শাহাদাৎকে বাসা থেকে তুলে এনে সিপিবি জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে তল্লাশীর নামে পার্টির পতাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুনরায় গভীর রাতে এইচ এম শাহাদাৎকে বাসা থেকে পার্টি অফিসে নিয়ে আসে। বিনা উসকানিতে জনগণের ন্যায্য দাবির পক্ষে একটি হরতাল কর্মসূচিতে এরূপ পুলিশি হয়রাণিতে নেতৃবৃন্দ বিস্ময় প্রকাশ করেন। সাথে সাথে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। হরতালের কর্মসূচি চলাকালে অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ ও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি ডাঃ মনোজ দাশ, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এ রশীদ, বাম গণতান্ত্রিক জোট খুলনার সমন্বয়ক ও ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ নেতা কাজী দেলোয়ার হোসেন, বাসদ জেলা সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত নাণ্টু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র খুলনা মহানগর সভাপতি এইচ এম শাহাদাৎ, জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. রুহুল আমিন, শেখ আব্দুল হান্নান, মহানগর সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, সিপিবি নেতা মিজানুর রহমান বাবু, সুতপা বেদজ্ঞ, ইউসিএলবি নেতা মোস্তফা খালিদ খসরু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আলীদাদ খান, নিতাই পাল, ওয়াহিদুর রেজা বিপলু, সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মীর ওবায়দুর রহমান, বাসদ নেতা কোহিনুর আক্তার কনা, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা রুহুল আমিন, শেখ রাজিব, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা উত্তম রায়, সৌরভ সমাদ্দার, ছাত্র ফ্রন্ট নেতা সনজিৎ মণ্ডল প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শান্তিপূর্ণ হরতাল-মিছিল-সমাবেশ জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। বাম জোটের শতভাগ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশেষ মহলের অতি উৎসাহ, এহেন আচরণে সচেতনমহল বিস্মিত। তেমনি সরকারকে ত্রমান্বয়ে ফ্যাসিবাদের সারিতে দাঁড় করাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ এহেন ন্যাক্কারজনক আচরণ থেকে সরে এসে দেশের নব্বই শতাংশ মানুষের একেবারেই জীবনঘনিষ্ঠ সুখ-দুঃখের বিষয়টি উপলব্ধিতে এনে তাদের দাবি-দাওয়ার প্রতি সনানুভূতিশীল হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাবে বিষয়টি সরকার কোনোভাবে আমলে না নিয়েই আন্দোলনকারীদের উপর বিরাগভাজন হয়ে চড়াও হলো। আপাতত দৃষ্টে বিষয়টি পরিস্কার যে এ সরকার শ্রমজীবী নিন্ম-মধ্যবিত্তদের পক্ষের নয় বরং লুটেরা ধনিকশ্রেণির প্রতিনিত্বিকারী ও স্বার্থ রক্ষার পক্ষে। সুতরাং সমস্যা যার তাকেই তার দাবি বুঝে নিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ পাস হওয়া নতুন বাজেটকে বাংলাদেশের বিদ্যমান আর্থ-সামজিক অবস্থার সম্পূর্ণ পরিপন্থী উল্লেখ করে বলেন, এটি একটি গরীব নিঃস্ব করার ফাঁদ। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে দেশের খেটে খাওয়া মানুষ গভীর সংকটে নিমজ্জিত হবে। কথিত জিডিপি কিংবা লুটপাটের উন্নয়ন দিয়ে তা ঠেকানো যাবে না। শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব অবধারিত। সুতরাং এখনই সময় বিশেষ স্বার্থান্বেষীমহলের পরামর্শে চমক সৃষ্টিকারী বাজেট প্রণয়ন ও কথিত উন্নয়ন থেকে সরে এসে বাস্তবমুখী হওয়া।