খুলনা প্রতিনিধি :
খুলনার কয়রা উপজেলায় ২পক্ষের প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটছে। ৯জুন বরিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহারাজপুর ইউনিয়নের সুতির অফিস এলাকায়। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের ৪নেতা কর্মীসহ আহত। সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আলামিন ইসলামের ভাই আবুল কালামও আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে সুতির অফিস এলাকায় যান সাংগঠনিক মিটিং ও ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করার জন্য। শুভেচ্ছা বিনিময় কালে সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের ভাইও তার সাথে থাকা লোকজন ছাত্রলীগের নেতা কর্মির সাথে অশোভন আচরণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে কথাকাটাকটি করতে করতে ছাত্রলীগের উপর এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা করে ।
আর্তকিত হামলায় ছাত্রলীগ নেতা রাব্বী, রাসেল, আব্দুল্লাহ, মাদানী ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা ওয়াহিদ মেম্বর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আব্দুল্লাহ ও মাদানীকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
ছাত্রলীগ সভাপতি আরও জানান, এ হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল আমিনের ভাই রুহুল আমিন ও কালাম দোষারোপ করে বলেন তারা হামলায় সরাসরি নেতৃত্ব দেয় তাদের স্থানীয় প্রভাব দেখাতে।
কয়রা থানার ওসি তারক বিশ্বাস বলেন, ছাত্রলীগ সভাপতি ওই এলাকায় সাংগঠনিক প্রোগ্রাম করছিলেন। সাবেক সাধারণ সম্পাদকের ভাইয়ের সঙ্গে কয়েকজনের কথাকাটা কাটি হয়। এর জেরে হাতাহাতি হয়। তবে বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি।খবর পেতে তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনা স্থানে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলামিন ইসলাম বলেন, আমি খুলনাতে অবস্থান করছি, এক পক্ষ অতি উৎসাহিত হয়ে ছাত্রলীগকে সামনে রেখে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়ছে। তিনি আরও বলেন ওয়াহিদ মেম্বরের নেতৃত্বে আমার ভাই আবুল কালামের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। তাকে গুরুত্বর অবস্থায় প্রাথমিক ভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় বলে তিনি জানান।