খবর বিজ্ঞপ্তি : গত ২৬শে জুন বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালকে রিফাত হত্যা কান্ডের প্রতিবাদে ২৮ জুন শুক্রবার বিকালে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে ছাত্র ইউনিয়ন খুলনা জেলা শাখার আয়োজনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা উল্লেখ করেন, বরগুনা সরকারি কলেজে সামনে রিফাত নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময়ে উপস্থিত জনতা সন্ত্রাসীকে প্রতিহত না করে নিরবে তা দেখে গেছে। নিহত রিফাতের স্ত্রী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও রিফাতকে সন্ত্রাসী দের কাছ থেকে রক্ষা করতে গেলে তা সম্ভব হয়নি।
সারাদেশে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি আজ প্রকট রূপ ধারণ করেছে তা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে তোলার আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, বিচারহীনতা আজ আমাদের বধির, অন্ধ ও মনুষ্যত্বহীন করে তুলেছে। বিচারহীনতা, অসহিষ্ণুতা, কর্তৃত্ববাদী ও নির্লজ্জতার নিষ্ঠুর কুফল রিফাতের মত অসংখ্য নিরীহ প্রাণের নির্মম পরিণতি। প্রকাশ্য দিবালকে এ হত্যাকান্ড এই প্রথম নয়। এর আগে বিশ্বজিৎ,অভিজিৎ তের হত্যা হয়েছে।
রাষ্ট্র যদি বিশ্বজিতের, অভিজিৎ দের খুনীদের ফাঁসি নিশ্চিত করতে পারতো, তাহলে হয়তো আর কোন রিফাতকে খুন হতে হতো না। খুনীদের কঠোর শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে একটা কঠোর বার্তা পৌঁছাতে পারলে হয়তো আজকে এই পরিণতি আমাদের দেখতে হতো না।
সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন কৌশলে পার পেয়ে যাচ্ছে, যে কারণে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আর কত? আসুন আমরা জেগে উঠি। বিশ্বজিৎ গেলো, অভিজিৎ গেলো, রিফাত গেলো! এরপর হয়তো আমি কিংবা আপনি……..!! এখন আমরা কেউ নিরাপদ নই। আসুন আমরা প্রতিবাদ করতে শিখি, সকলে একতাবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসীদের রুখে দিই।
আমরা এমন সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা চাই না, যেখানে বাসা-বাড়ি, অফিস, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সড়ক কোথাও মানুষের নূন্যতম নিরাপত্তা নেই। আমরা একটু নিরাপত্তা চাই, নিরাপদ পরিবেশ চাই।
দেশে চলমান ধারাবাহিক নৈরাজ্য ও হত্যার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। আমরা বিশ্বজিৎ, রিফাত সহ সকল হত্যা, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির সঙ্গে জড়িত সকল নরপিশাচদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
সন্ত্রাসীদের প্রতিহতে করতে আমরা সাবাই রাজপথে নেমে তাদের বিচারের দাবিতে আওয়াজ তুলি।
এ সময়ে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, খুলনা জেলা সংসদের সভাপতি উত্তম রায়, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ রবিউল ইসলাম রবি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু বাছাড় ও কোষাধ্যক্ষ সৌমিত্র, সৌরভ প্রমূখ।।