প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে অনিয়ম-দুর্নীতি-লুটপাটের প্রতিবাদে সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ, খুলনার উদ্যোগে নগরীর ১৮নং ওয়ার্ড সমাজ উন্নয়ন কমিটির সহযোগিতায় এক গ্রাহক সমাবেশ আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় সোনাডাঙ্গা এম এ বারি সড়কস্থ আলীর ক্লাব মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়।
১৮নং ওয়ার্ড সমাজ উন্নয়ন কমিটির উপদেষ্টা খান আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং ১৮নং ওয়ার্ড সমাজ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি এস এম দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সজল আহমেদ আলীর যৌথ পরিচালনায় গ্রাহক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা নাগরিক সমাজের আহবায়ক এড. আ ফ ম মহসীন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন লোক চেতনার আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ইলিয়াস, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সভাপতি ডাঃ নাসির উদ্দিন, নিরাপদ সড়ক চাই নিসচা’র জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, সাংবাদিক এইচ এম আলাউদ্দিন, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আফজাল হোসেন রাজু, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির অন্যতম নেতা মোঃ আব্দুল কায়ুউম গোরা, ডাঃ কাজী রকিবুল ইসলাম পলাশ, নারীনেত্রী হাসিনা গফফার, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম লিটন, ১৮নং সমাজ উন্নয়ন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মুরাদ হোসেন বাবু, সোনালী ব্যাংকের ডিজি এম আলহাজ্ব এ এম ফরহাদ হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. মেহেদী ইনছার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি ডাইরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা এবারত আলী, সোনালী ব্যাংকের এসপিও এস এম আব্দুস সালাম, মুহাদিস আলহাজ্ব মাওঃ মুফতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের নেতা আলহাজ্ব মোঃ মুকুল শেখ, সাংবাদিক কলিন হোসেন আরজু, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক মাসুমা বেগম, পল্লীমঙ্গল স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, শেখ জামাল উদ্দিন, সেকেন্দার আলী বুলু, মোসলেম উদ্দিন হাওলাদার, মোঃ ফিরোজ আলী, আশরাফ চৌধুরী বুলু, মোঃ মেরাজ শেখ, মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, শেখ আব্দুল হান্নান, মোঃ খোরশেদ আলম চাঁদপুরী, আলহাজ্ব লুৎফর কবির, মাস্টার ফারক হোসেন, মোঃ সোহেল, মোঃ রাকিব শেখ, মোঃ ইউফুস শিকদার ইছা, অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আকবর আলী, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ লিয়াকত শিকদার, বিপ্লব কুমার সুধীর, মফিদুল ইসলাম, হাসান আল মামুন, ছাত্রনেতা তুহিন রহমান, শ্রমিকনেতা মোঃ হারুন শেখ, মোঃ আব্দুর রহিম, মোঃ আলী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, আমরা বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ ও সর্বশেষ প্রযুক্তির ব্যবহারের পক্ষে কিন্তু ওজোপাডিকো’র ব্যবহৃত মিটার চীন-জাপান-ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ পরিত্যাগ করেছে অথচ আমাদের দেশে জোর করে চায়নার অখ্যাত একটি কোম্পানীর তৈরি নিন্মমানের মিটার চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। মিটার বসাতে গিয়ে গ্রাহকদের ভয়ভীতি-হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। আর এর মাধ্যমে চলছে ওজোপাডিকোর গুটি কয়েক কর্মকর্তার বিলাসবহুল জীবন ও লুটপাটের প্রতিযোগিতা। এ লুটপাট খুলনাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করবে। মিটার বসানোর পূর্বে কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন, মিটারের দাম নেয়া হবে না এবং কোনো চার্জ দিতে হবে না। কিন্তু মাস যেতেই যখন রি-চার্জ করা হয় তখনই দেখা যায় মিটার দাম ৪০ টাকা, ডিম্যান্ড চার্জ গ্রাহকদের না জানিয়েই ৫০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত কেটে নেয়া হয়। বিষয়টি গ্রাহকদের নিকট পরিস্কার করার আহবান জানান গ্রাহকরা।
বক্তারা বলেন, প্রিপেইড মিটারের দাম নির্দিষ্ট করে ঘোষণা ও পুরান মিটারের ক্ষেত্রে রি-প্লেসমেন্ট দিতে হবে।