দীপক রায়,দাকোপ(খুলনা)প্রতিনিধিঃ
দাকোপে পাকা ধানে ব্যপকভাবে কারেন্ট পোকার আক্রমন, ইচ্ছেমত কীটনাশকের ব্যবহার। দাকোপের মাঠে মাঠে এখন সোনালী পাকা ধানের সমাহার। কোথাও কোথাও ধান কাটার মত হয়েছে আবার কোনো কোনো ক্ষেতে ধান পাকতে একটু দেরি। এমন অবস্থায় ব্যপকভাবে কারেন্ট পোকার আক্রমন কৃষকদের হতাশায় ফেলেছে। রাত গেলেই দেখা যাচ্ছে কোনো না কোনো ধান ক্ষেত পোকায় খেয়ে কালো করে দিয়েছে। সাধারনতঃ কৃষকরা প্রতিবছর ধান কেটে মাঠে শুকিয়ে তারপর বাড়িতে আনে। এবার অনেক কৃষক বলেছেন কাটা ধানেও নাকি কারেন্ট পোকা লেগেছে।
কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনটানা গ্রামের কৃষক সমির মন্ডল, সুশীল মন্ডল ও নান্টু জোয়াদ্দার বলেন, প্রতি রাতে ধানের ক্ষেতে লেদা ও কারেন্ট পোকা আক্রমন করছে। কেটে শুকানোর জন্য রাখা ধানেও পোকা লেগেছে। সাধারণ বিষে কোনো কাজ হচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী অনেকেই কীটনাশক ছিটিয়েছেন আবার কেউ কেউ কীটনাশক বিক্রেতার পরামর্শ অনুযায়ী কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন। এতে যারা কীটনাশক বিক্রেতার পরামর্শ শুনে কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন তারা পড়েছেন মারাত্মক লোকসানের মুখে। কারণ একদিকে কীটনাশকের চড়া মূল্য অন্যদিকে সঠিক কীটনাশক প্রয়োগ না হওয়ায় ধানের পোকা তো মরেনি বরং আরও নতুন জায়গায় নতুন করে আক্রমন করেছে।যারা কৃষি অফিসের পরামর্শ শুনেছেন তারা ভালো ফল পেয়েছেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন,ক্ষেতে যে ধরনের পোকাই আক্রমন করুক না কেন ব্যবসায়ীদের পরামর্শ না নিয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অথবা সরাসরি কৃষি অফিসারের পরামর্শ মোতাবেক কীটনাশক প্রয়োগ করাই উত্তম।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, দাকোপে এবার এক হাজার পাঁচ শত হেক্টর জমিতে উপসি এবং চার হাজার একশত ত্রিশ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধান রোপন করা হয়েছে। পোকার আক্রমনের ভয়ে অনেক কৃষক কাঁচা ধান কাটতে শুরু করেছেন।