তথ্যবিবরণী :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রযুক্তি দিয়ে সংঘটিত অপরাধ প্রযুক্তি দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে, প্রযুক্তি বন্ধ করে দিয়ে নয়। ইন্টারনেট হচ্ছে জ্ঞানভাণ্ডার, আগামী দিনের প্রযুক্তির অভাবনীয় বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিশুদেরকে উপযোগী করে গড়ে তুলতে হলে ইন্টারনেট থেকে শিশুদের সরানো যাবে না বরং শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ রাখতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন করছে। পাশাপাশি শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ রাখতে প্যারেন্টাল গাইডেন্স ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
মন্ত্রী ১০ জুলাই ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে আইন ও সালিশ কেন্দ্র আয়োজিত ‘ইন্টারনেটে শিশু যৌন নির্যাতন: ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের অধিকার ও কর্তব্য’ শীর্ষক অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট প্রসারের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের প্রসার ঘটেছে গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখ। গত দশ বছরে তা সাড়ে নয় কোটি অতিক্রম করেছে। দেশে তথ্য-প্রযুক্তি বিকাশে অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল হবো নিরাপদও থাকবো। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার বা সন্তানের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটা খুব প্রয়োজন ছিল। এটা এখন প্রমাণিত হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা এবং পর্নোগ্রাফি আইনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সাথে সংযুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী ২২ হাজার পর্নো সাইট বন্ধ করা-সহ নির্বাচনকালীন অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য রাষ্ট্রীয় স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিদের নামে ব্যবহƒত সাত শতাধিক ভুয়া আইডি বন্ধের প্রসঙ্গে তুলে ধরে বলেন, নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, দেশের দুর্গম অঞ্চল-সহ প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সেজন্য ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী-সহ সংশ্লিষ্টদের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শিপা হাফিজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি আলিমুজ্জামান, সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট রেজাউল করিম সিদ্দিকী, টিডিএইচ নেদারল্যান্ডসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাহমুদুল কবির এবং বিটিআরসি কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ বক্তৃতা করেন।