দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি :
রাতের আঁধারে দাকোপের প্রত্যন্ত গ্রামের রাস্তায় আলো ছড়াচ্ছে সৌরবাতি। সরকারের এ পদক্ষেপকে অভিনন্দন জানিয়েছে এলাকাবাসী।
একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত খুলনা জেলাধীন দাকোপ উপজেলা। সুন্দরবন সংলগ্ন উপকুলের এ উপজেলাটি দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত। দেশের অন্য এলাকার তুলনায় এ জনপদে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে খুবই কম। প্রতিঘরে বিদ্যুৎ এখানে এখনও পৌছায়নি। প্রায় ৪০ শতাংশ রাস্তা এখনও রয়েছে কাঁচা। রাতের বেলা ঘুট-ঘুটে আঁধারে এলাকার মানুষ এখনও টর্চলাইটের আলোয় চলাচল করে। ঘোর অন্ধকারের রাস্তায় চোর ডাকাত, বাঘ ও সাপের ভয়। দিবালোকের মত আলোয় রাতের শহর যখন জেগে থাকে তখন গ্রাম থাকে ঘুমিয়ে। গভীর কালো আধার ঢেকে ফেলে সমস্ত গ্রামগুলোকে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার টি আর, কাবিটা প্রকল্পের মাধ্যমে যে পৌরসভাতে রোড লাইট নেই সেখানে এবং ইউনিয়ন গুলোতে গ্রামের রাস্তায় সৌরবাতি দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। এতে রাতের গ্রাম যেন শহরের মত জেগে উঠতে শুরু করেছে। সরেজমিনে দেখাযায় দাকোপ উপজেলার চালনা পৌরসভা এবং ৯টি ইউনিয়নের রাস্তার মোড়, খেয়াঘাট, মসজিদ, মন্দিরসহ বিশেষ বিশেষ স্থানে রাস্তায় সৌরবাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে রাতের বেলায় মানুষ চলাচলে একটু স্বাচ্ছন্দবোধ করছে। রাত্রে পথ চলাচলে পথিক অনেকটা সাহস পাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে মানুষের মনে নতুন চমক সৃষ্টি হলেও এ বাতির সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। উপজেলা পিআইও অফিস থেকে জানাযায় এ পর্যন্ত দাকোপের বিভিন্ন রাস্তায় ৮৫টি বাতি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, এ বাতির সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে তাহলে রাতের রাস্তা হবে মানুষের কাছে ভয়হীন ও নিরাপদ।
চালনা পোদ্দাগঞ্জের খেয়ামাঝি প্রকাশ রায় বলেন, আগে ঘাটে কোনো আলো ছেলো না। অন্ধকারে মানুষ পার করতাম অনেক দুর্ঘটনা ঘুটেছে। এখন আলোয় সব দেখতি পাই তাই সাবধানে ট্রলার ঘাটে ধরতি পারি কোনো সমস্যা হয় না। তবে রাত্রি যখন বাড়ী যাই তখন রাস্তায় খুব অন্ধকার থাকে চলতি অসুবিধা হয়। ভয়ে গা ছম ছম করে। এই বাতি রাস্তায় বেশী বেশী দেবার দরকার।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আলহাজ্ব আব্দুল কাদের বলেন, পৌরসভা ও গ্রামের রাস্তায় সৌরবাতি বেশ উপকারে এসেছে এলাকার মানুষের চাহিদাও বেশী। আমরা চেষ্টা করছি রাস্তায় বাতির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল ওয়াদুদ বলেন, রাতের অন্ধকারে নিরাপদে রাস্তায় চলাচলের জন্য সৌরবাতির সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।