ডাঃ সন্তোষ কুমার মজুমদার :
খেজুরের রস খেজুর গাছ থেকে নিঃসৃত রস।
এই রসে প্রচুর এনার্জি বা শক্তি রয়েছে। এতে জলীয় অংশও বেশি। একে তাই প্রাকৃতিক ‘এনার্জি ড্রিংক’ বলা হয়। এতে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি থাকে। খেজুরের রস কাঁচা খাওয়া যায়, আবার জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করেও খাওয়া যায়।
উপকারিতা সমূহ :
১) গুড়ে আয়রন বেশি থাকে এবং হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে।
২) খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় অনিদ্রা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৩) গুড়, পিঠা, পুলি, পায়েস, ফিরনি ও পাটালী আমাদের শক্তি জোগায়।
৪) শারীরিক দুর্বলতায় খেজুরের রস খুবই উপকারী।
সাবধানতা :
১) যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের খেজুরের রস না খাওয়াই ভাল।
২) বাদুরের লালা মিশ্রিত রসে NIPA VIRUS থাকে যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
৩)রস যেহেতু খোলা অবস্থায় গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়, তাই এতে জীবাণু থাকতে পারে। এটা অস্বাস্থ্যকর। এ জন্য রস ফুটিয়ে নিয়ে খাওয়া ভালো।
খাওয়ার নিয়মঃ-
১)একজন সুস্থ মানুষ সকালে এক থেকে দুই গ্লাস রস খেতে পারেন।
২) সকালে খালি পেটেও রস খাওয়া যেতে পারে।এতে সমস্যা নেই।