খবর বিজ্ঞপ্তি :
শনিবার ১৮ মে খুলনা জেলা ছাত্রযুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনিমেশ সরকার রিন্টু সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাকডাঙ্গা এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত শনিবার ১৮ মে সকালে বাসটি খুলনার রূপসা থেকে গোপালগঞ্জের গোনা পাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে ঘটনাস্থলে ওই দুর্ঘটনায় তিনি মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন তার বাম পায়ের দু’টি হাঁড় ভেঙে গেছে।
অনিমেশ সরকার রিন্টু চিকিৎসাধীন অবস্থায় গণমাধ্যমকে বলেন,পথে থেমে থেমে যাত্রী ওঠানোর কারনে দেরি হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গন্তব্যস্থলে না পৌছালে ২২০ টাকা জরিমানা এড়ানোর জন্য ওই বাসটির চালক দ্রুতবেগে গাড়িটি চালাতে থাকলে ঘটনাস্থলে বাসের সামনের চাকা খুলে উল্টে গিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়। এতে গাড়িচালকসহ ছয়জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন, আহত হন অনেকেই। সামান্য কয়টা টাকার জন্য চালক নিজের জীবন তো হারালো আর এতগুলো মানুষের জীবনে ভোগান্তি যোগ করে গেল।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত অনিমেশ সরকার রিন্টুর শয্যা পাশে চিকিৎসার খোঁজ নিতে যান খুলনা-২ আসনের সাবেক সাংসদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমার মিজান, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিমান বিহারী রায় অমিত, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শ্যামল দাশ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণপদ দাশ, সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ দত্ত, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুন্ডু, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় সভাপতি রবার্ট নিক্সন ঘোষ, সহ সভাপতি দেবাশীষ রায়, বিশ্বজিৎ দে মিঠু, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জেলা ও মহানগর ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।