তৃপ্তি সেন, পাইকগাছা :
২১ ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ দিবসটি পালনের জন্য ছোট বড়, ধনী-গরীব সকলে এক কাতারে শামিল হন। দিবসটি উদযাপনের জন্য বাদ পড়ে না ছোটরাও।
সবাই শহীদ মিনারে ফুল দিতে কেন যায় ? কি জন্য যান ? অনেক রাতে সবাই ফুল দিবে কেন? এমনই অনেক প্রশ্ন থাকে ছোট শিশুদের। ছোট শিশুরা এখনও ভালোভাবে জানতে পারেনি শহীদ দিবস কি জন্য পালন করা হয় ? কারা ভাষার জন্য শহীদ হয়েছিল ? ভাষার জন্য কেন তারা প্রাণ দিল ? এমন নানান প্রশ্ন থাকে ছোট শিশুদের। ঠিক তেমনই ছোট শিশু মুগ্ধ। সকলের প্রিয় আদরের শেখ মো. ত্বাহাজাইন মুগ্ধ। এ বছরই প্রথম শিশু শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে কপিলমুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মাত্র কয়েক মাস স্কুলে যাতায়াত। স্যারেরা সকল শিক্ষার্থীদের সাথে মুগ্ধকেও বলেছেন আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে।
এরপর বাড়িতে এসে শুনে বাবাও রাত বারোটা এক মিনিটে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাবেন। সাথে সাথে মুগ্ধও আবদার ধরলো, সেও রাতে যাবে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে। যে কথা সেই কাজ। সন্ধ্যা থেকে না ঘুমিয়ে, রাত জেগে বাবার কাঁধে চড়ে মুগ্ধ রাত বারোটায় কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল অ্যান্ড কলেজে অবস্থিত শহীদ মিনারে হাজির। সকলের মত তার হাতে ফুল ও জাতীয় পতাকা এবং মাথায় একুশ লেখা ফেস্টুন।
এরপর নানান প্রশ্নে জর্জরিত তার পিতা। পিতা প্রতিতযশা সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এসএম মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজ। বাড়ি পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের নাছিরপুর গ্রামে। মুগ্ধ শুধু তার পিতার সাথে নয়, সকলকে সাথে নিয়ে বুধবার একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ভাষা সৈনিকদের প্রতি।