ওবায়দুল কবির(সম্রাট):
আষাঢ় মাস শেষ হতে চললো কিন্তু আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের সহস্রাধীক আমন চাষী দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। লবণ অধ্যুষিত সুন্দরবন উপকূলীয় কয়রা উপজেলার কৃষকেরা এ বছর রোপা আমন চাষাবাদ নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন।
কৃষকেরা জানিয়েছেন, এলাকার নদ-নদীর পানি লবণাক্ত হওয়ায় তাদের চাষাবাদের একমাত্র ভরসা বৃষ্টির পানি। বিগত বছরগুলোয় মধ্য আষাঢ় নাগাদ বীজতলা তৈরীর কাজ শুরু করেন কৃষকরা। শ্রাবণের মাঝামাঝি সময়ে বীজতলা থেকে ধানপাতা তুলে নিয়ে ক্ষেতে ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করেন তারা। কিন্তু এ বর্ষা মৌসুমে তার ব্যতিক্রম ঘটতে দেখা যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে হালকা ছিটেফোটা বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু সে পানিতে খাল বিল ভরছে না। বিলের মাটি শুকনো থাকায় এখন পর্যন্ত কৃষক জমি চাষাবাদ শুরু করতে পারেনি। পানির অভাবে কেউ এখনো বীজতলা তৈরীর কাজও শুরু করতে পারেনি। ফলে রোপা আমনের চাষাবাদ নিয়ে রীতিমতো শংকিত তারা।
এদিকে উপজেলা সদর সহ ৭টি ইউনিয়নের বিসিআইসির ডিলার ও সাবডিলারদের দোকানগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমন বীজের বেচাবিক্রির পরিমান কম। কয়রা পুরাতন বাজারের সাব ডিলার মিলন কুমার মন্ডল জানায়, ‘‘বৃষ্টি কম তাই পানি সংকটের কারনে কৃষকরা বীজতলার জমি প্রস্তুত করতে পারছে না। জমি প্রস্তত করতে না পারায় বহু কৃষক বীজ কিনছে না। একদিকে ধানের মূল্য কম তাতে আবার সময়মতো বৃষ্টির দেখা নেই এ অবস্থায় টাকা পয়সা খরচ করে জমিজাগা চাষবাদ করতে অনেকের অনিহা।’’ কয়রা সদরের ৫নং কয়রা গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম গাজী বলেন, ‘‘আষাঢ় মাস শেষ হতি গেল অথচ বৃষ্টি বাদলের দেখা নেই। কবে বৃষ্টির পড়বে সেই অপেক্ষায় আছি।’’ মহারাজপুর ইউনিয়নের কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত পানির অভাবে আমনের বীজতলা তৈরী করা সম্ভব হইনি। নদীর পানি আজও নোনা, কি করবো বুজদি পাত্তিচনে।’’
উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম মিজান মাহমুদ বলেন, দেরীতে হলেও নিশ্চই আশানুরূপ বৃষ্টি হবে। সে সময় কৃষক তাদের জমিতে চাষাবাদ করে ধান রোপন করতে পারবে।