তথ্যবিবরণী :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ১২ জুন ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
আইএলও দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘ঈঐওখউজঊঘ ঝঐঙটখউঘ’ঞ ডঙজক ওঘ ঋওঊখউঝ, ইটঞ ঙঘ উজঊঅগঝ!’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
আমাদের সরকার শিশুদের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতোমধ্যে আমরা জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ এবং ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও নিরসন বিষয়ক আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থন করেছি। যে কোন সংঘাত, সংকট, দুর্যোগে শিশুদের অধিকার রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০২৫ সালের মধ্যে সকল ধরনের শিশুশ্রম নিরসনে এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকার ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমরা জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০ প্রণয়ন করেছি। এ নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং শিশুশ্রম বিষয়ক কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটিগুলো কাজ করে যাচ্ছে। শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৩৮ ধরনের কাজকে চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিযুক্ত শিশুদের প্রত্যাহার করে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। শ্রমিকদের সন্তানদের যাতে শিশুশ্রমে নিয়োজিত হতে না হয়, সে লক্ষ্যে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শিশুশ্রম সমীক্ষা ২০০৩ অনুযায়ী বাংলাদেশে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ছিল ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন, ২০১৩ সালের শিশুশ্রম সমীক্ষা অনুযায়ী তা হ্রাস পেয়ে ১ দশমিক ৭ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশে শিশুশ্রম বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।
আমি শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও শিশুদের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো কার্যকর ভ‚মিকা পালনের আহবান জানাই।
আমি ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”