তথ্যবিবরণী :
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) চলতি ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জন্য ৮৬৫ কোটি ৫৪ লাখ তিন হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ২৪ জুলাই (বুধবার) দুপুরে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে এ বাজেট ঘোষণা করেন।
প্রস্তাবিত এ বাজেটে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৯ কোটি ৮২ লাখ ২৬ হাজার টাকা এবং সরকারি বরাদ্দ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা হতে উন্নয়ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯৫ কোটি ৭১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৩৭ কোটি ৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। সংশোধিত বাজেটে এর আকার দাঁড়িয়েছে ২৯৮ কোটি ৮৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ৪৬.৯০ শতাংশ।
বাজেট ঘোষণাকালে সিটি মেয়র বাজেটের মূল বৈশিষ্টগুলো তুলে ধরে বলেন, এ বাজেটে নতুন কোন কর আরোপ করা হয়নি। নিজস্ব আয়ের উৎস সম্প্রসারণের মাধ্যমে কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধির পরিকল্পান নেয়া হয়েছে। ব্যয়ের খাত হিসেবে সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, শহর রক্ষাবাঁধ নির্মাণ, বর্জ্যব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, নাগরিকসেবা সম্প্রসারণ, মশকনিধন, স্বাস্থ্যব্যবস্থাপনার উন্নয়ন বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। খুলনার উন্নয়নে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি আছে জানিয়ে মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীকে পরিত্রাণ দেওয়ার নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা হবে। অর্থ সংস্থানের জন্য একটি স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে খুলনা সিটি কর্পোরেশন কেবল সরকারি বা বিদেশি সাহায্য ও ঋণের ওপর নির্ভরশীল থাকতে পারে না। নিজস্ব আয়ের ওপর নির্ভর করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো আজ সময়ের দাবি।
কেসিসি মেয়র জানান, কেসিসির নিজস্ব সংস্থাপন ব্যয় মিটিয়ে এবং ব্যয় সংকোচন করে রাজস্ব তহবিল হতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে মোট ৬১ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭১ কোটি ৯৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। উক্ত বরাদ্দ হতে পূর্ত খাতে ৪২ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ভেটেরিনারি খাতে ২৫ লাখ টাকা, জনস্বাস্থ্য খাতে ১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা, কঞ্জারভেন্সি খাতে ১৬ কোটি ৫৯ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। নগরীতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের দায়িত্ব খুলনা ওয়াসার হলেও বিশেষ প্রয়োজনে জরুরি পানির চাহিদা মেটানোর জন্য গভীর ও অগভীর নলকূপকে সাবমারসিবল পাম্পে রূপান্তর করার জন্য এখাতে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন দাতা সংস্থার ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং দুইটি প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এসব প্রকল্পে ২০১৯-২০ অর্থ বছর ১৩৪ কোটি ৬৫ লাখ ৫২ হাজার টাকার উন্নয়ন সহায়তা পাওয়ার আশা করা যায়।
বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কেসিসির অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর শেখ মোঃ গাউসুল আজম। এ সময় কেসিসির কাউন্সিলর, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা, কেসিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।